হুসাইন আল হাফিজের কয়েকটি কবিতা
অন্তরাদের বাড়ি
পাতায় দোলে গাছের আয়ু বাতাসকাটার জ্বর
রাস্তা জানে ঝরা পাতার মুখস্থ অক্ষর—
রোদ পোহানো পেরিয়ে দুপুর বিকেল দিলে পাড়ি
সন্ধ্যা হবার পেছনটাতেই অন্তরাদের বাড়ি—
শিমুলফুলের লাল পেরিয়ে কুশিয়ারার চর
মাদার গাছের ছায়ায় থাকে দাঁড়িয়ে যাযাবর
জলের ঢেউয়ে রঙ ফুটলে মার্কারি মার্কারি
ভাঁটফুলে যাও খবর করো অন্তরাদের বাড়ি—
চাঁদের জলে গোসল বুনে রাত ঘনালে তারা
উলঙ্গ তার দেহতে ঠোঁট কাটছিলো মশকারা
পুকুরপাড়ে আউটা কেটে রাতের আলাপচারি
জলডাহুকের দল পেরুলেই অন্তরাদের বাড়ি—
সূর্য ওঠার টিকিট চোখে ধরলে পাখি গান
পাখির ঠোঁটে ফোঁটা ফোঁটা আয়াতে কুরআন
স্বরের সুতোয় সুরের কাপড় সেলাই করেন ক্বারী
বারান্দাতে পর্দাটানা অন্তরাদের বাড়ি—
নদীর ননদ
শব্দের কাঁচ ভেঙে এসো হে শামুক
পাখনা ছড়িয়ে রাখো বাতাসের মুখ
খাফনাতে শব্দের দেহ ভাঙো–চুরো
ভেঙে গেলে লাল থাকে দেহ টমেটোরও—
উলঙ্গ হও নদী, খুলো চটি–জামা
কত আর ভনিতার বৃথা সার্গামা—
নদীর মলাট ভেঙে চরাচর পথ
ধুতুরার ফুল তুমি নদীর ননদ—?
*
কচুফুলের মতন হলুদ
দিন করেছে মাঠে,
তুমি কেন থেমেই থাকো
বাড়ির উঠোনটাতে—
গাছের ছায়া ধান খেয়েছে
সালিশ পরগাছা,
এমনদিনে ধর্ম নিয়ে
তোমার কাপড় কাচা—
বৃষ্টি আসার দিন ঘনালে
বাতাস পোহাও মন,
চোখের বাটন মেঘ চেপেছে
বৃষ্টিতে রিংটোন—
শুক্রবার
আজও শুক্রবার, বৃষ্টি তুমুল
ফুটে আছে একা একা ডুমুরের ফুল
আজও শুক্রবার, ফরিশের গাছে
গোপনে তোমার চলে যাওয়াটাই আছে—
আজও শুক্রবার, দিন জুমআর
অদূরে কোথাও মন ভেঙে ছারখার
আজও শুক্রবার, ফুরায় আদল
তুলে ঢেউ এই বুকে বিলি কাটা জল;
আজও শুক্রবার, পূব জানলায়
বেসুরা গলার গান মেঘে ভিজে যায়—
আসবেই তুমি, আজ মহীয়সী বার
আজও শুক্রবার জানা তো তোমার!
আজও শুক্রবার, কোনো দেখা নেই
কেন যে তোমার যাওয়া শুক্রবারেই—?
পাতায় দোলে গাছের আয়ু বাতাসকাটার জ্বর
রাস্তা জানে ঝরা পাতার মুখস্থ অক্ষর—
রোদ পোহানো পেরিয়ে দুপুর বিকেল দিলে পাড়ি
সন্ধ্যা হবার পেছনটাতেই অন্তরাদের বাড়ি—
শিমুলফুলের লাল পেরিয়ে কুশিয়ারার চর
মাদার গাছের ছায়ায় থাকে দাঁড়িয়ে যাযাবর
জলের ঢেউয়ে রঙ ফুটলে মার্কারি মার্কারি
ভাঁটফুলে যাও খবর করো অন্তরাদের বাড়ি—
চাঁদের জলে গোসল বুনে রাত ঘনালে তারা
উলঙ্গ তার দেহতে ঠোঁট কাটছিলো মশকারা
পুকুরপাড়ে আউটা কেটে রাতের আলাপচারি
জলডাহুকের দল পেরুলেই অন্তরাদের বাড়ি—
সূর্য ওঠার টিকিট চোখে ধরলে পাখি গান
পাখির ঠোঁটে ফোঁটা ফোঁটা আয়াতে কুরআন
স্বরের সুতোয় সুরের কাপড় সেলাই করেন ক্বারী
বারান্দাতে পর্দাটানা অন্তরাদের বাড়ি—
নদীর ননদ
শব্দের কাঁচ ভেঙে এসো হে শামুক
পাখনা ছড়িয়ে রাখো বাতাসের মুখ
খাফনাতে শব্দের দেহ ভাঙো–চুরো
ভেঙে গেলে লাল থাকে দেহ টমেটোরও—
উলঙ্গ হও নদী, খুলো চটি–জামা
কত আর ভনিতার বৃথা সার্গামা—
নদীর মলাট ভেঙে চরাচর পথ
ধুতুরার ফুল তুমি নদীর ননদ—?
*
কচুফুলের মতন হলুদ
দিন করেছে মাঠে,
তুমি কেন থেমেই থাকো
বাড়ির উঠোনটাতে—
গাছের ছায়া ধান খেয়েছে
সালিশ পরগাছা,
এমনদিনে ধর্ম নিয়ে
তোমার কাপড় কাচা—
বৃষ্টি আসার দিন ঘনালে
বাতাস পোহাও মন,
চোখের বাটন মেঘ চেপেছে
বৃষ্টিতে রিংটোন—
শুক্রবার
আজও শুক্রবার, বৃষ্টি তুমুল
ফুটে আছে একা একা ডুমুরের ফুল
আজও শুক্রবার, ফরিশের গাছে
গোপনে তোমার চলে যাওয়াটাই আছে—
আজও শুক্রবার, দিন জুমআর
অদূরে কোথাও মন ভেঙে ছারখার
আজও শুক্রবার, ফুরায় আদল
তুলে ঢেউ এই বুকে বিলি কাটা জল;
আজও শুক্রবার, অটোরিক্সাতে
কোথাও যাচ্ছো তুমি যেন কার সাথে
আজও শুক্রবার, পৃথিবীর ছুটি
হয়তো আসবে তুমি হেঁটে গুটিগুটি—!
কোথাও যাচ্ছো তুমি যেন কার সাথে
আজও শুক্রবার, পৃথিবীর ছুটি
হয়তো আসবে তুমি হেঁটে গুটিগুটি—!
আজও শুক্রবার, পূব জানলায়
বেসুরা গলার গান মেঘে ভিজে যায়—
আসবেই তুমি, আজ মহীয়সী বার
আজও শুক্রবার জানা তো তোমার!
আজও শুক্রবার, কোনো দেখা নেই
কেন যে তোমার যাওয়া শুক্রবারেই—?
চেনা নাম
এইতো সকাল পা ফেলেছে হাওয়ায়
পেরিয়ে উঠান সবুজ পাতার ঘাম
জুতার ফিতা লাগিয়ে নিতে নিতে
পথ লিখে যায় ছায়ায় তোমার নাম—
মকতবে মেঘ যায়নি হাজার দিবস;
কায়দা বুকে, ব্রেড–বিস্কুট হাতে
ময়লা হয়ে পড়ে আছে নীলরঙা বস্তনি
যাচ্ছো না তো পাড়ার মাদরাসাতে—!
বুকের ভেতর বিষণ্নতার বকুল;
চোখের শূলে চড়িয়ে নিতে কেমনে তুমি পারো
রেজিস্টারের খাতায় লেখা দীর্ঘ পাতাজুড়ে
এমন চেনা নাম ছিলো না কারো—
এইতো সকাল পা ফেলেছে হাওয়ায়
পেরিয়ে উঠান সবুজ পাতার ঘাম
জুতার ফিতা লাগিয়ে নিতে নিতে
পথ লিখে যায় ছায়ায় তোমার নাম—
মকতবে মেঘ যায়নি হাজার দিবস;
কায়দা বুকে, ব্রেড–বিস্কুট হাতে
ময়লা হয়ে পড়ে আছে নীলরঙা বস্তনি
যাচ্ছো না তো পাড়ার মাদরাসাতে—!
বুকের ভেতর বিষণ্নতার বকুল;
চোখের শূলে চড়িয়ে নিতে কেমনে তুমি পারো
রেজিস্টারের খাতায় লেখা দীর্ঘ পাতাজুড়ে
এমন চেনা নাম ছিলো না কারো—
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করতে গুগলে লগ ইন করুন